পরাবাস্তব
নুড়ি কাকড়ের মত মানুষ কুড়িয়ে বেড়াই
ঘন কুয়াশা ঘেরা একটা উপত্যকা, মুখে হাত ঢেকে বসে থাকা একটা কিশোরী মেয়ে, যেন হাত সরালেই দেখতে পাওয়া যাবে প্রস্তর যুগের কোন শিলালিপি,
অনেক গভীরতায় গেলে দেখা যায় শরীরের সব আদিম ভাঁজ, যেন মহাদেশীয় ভূত্বকের তলার সব জীবন্ত জীবাশ্মের অশেষ কথোপকথন,
আমি মাটিতে গর্ত খুঁড়ে শুয়ে মাপতে থাকি অনিবার্য নির্দিষ্টতা,
বেরিয়ে আসার কোনো ইচ্ছা নেই আমার, বাস্প কুয়াশা সরে গেলে একটা দুটো তারা জেগে উঠবে আমি তখনো ওখানেই থাকবো,
আঁশের মতো গায়ে লেগে থেকে গেছে অতীত, হরিণ এসে দেখে যায় চুপচাপ, চোখে মাতালের মতো ঘোর নিয়ে আমি ভাববো এটাও প্রতিরাতে দেখা আরেকটা অলীক স্বপ্ন,
যেমনভাবে মাথা গুজি অচেনা লোকের বুকে, চেনার ব্যার্থ চেষ্টা করি বারবার, সেরকম ভাবে চেনা মানুষকে খুজতে চাই না, অচেনা মানুষ চিনতে চাওয়া একটা নেশার মতো,
আরেকটা হরিন এসে দাঁড়ায় মাথার কাছে, অনিশ্চিত সময়ের মত হাওয়া দেয়,
সব গাছ থেকে কুচো পাতা পরে, ঢেকে যায় সমস্ত অনাবৃত জায়গা, ভরে যায় মৃতপাতার শবদেহে, নিশ্চিত মৃত্যুর মতন রাত নামে কবরের ওপর চাদরের প্রলেপ।